ছোটোদের চোখের সমস্যা
ছোটোরা সবসময় কিছু না কিছু করতে চায়। অপার বিস্ময়ে সে সবকিছু জানতে একেবারে উদগ্রীব হয়ে থাকে। এখনকার ছোট্টো পরিবারে মা ছাড়া খুব কম সময় বাবা বা বাড়ির অন্য কাউকে কাছে পায় শিশুরা। ফলে সে কখনো কোনো কিছু বায়না করলে অথবা খেতে না চাইলে মায়েরা অনেক সময় টিভি চালিয়ে দেন বা মোবাইল হাতে দিয়ে বসিয়ে দেন। টিভি বা ফোনের জাদুতে ঘন্টার পর ঘন্টা সেটা নিয়ে শিশুরা সময় কাটিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ এভাবে থাকার ফলে কম বয়স থেকেই শিশুদের চোখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যার প্রভাব তার পরবর্তী জীবনে গভীর ভাবে পড়তে পারে। তাই এখনই সতর্ক হয়ে এ সম্পর্কে বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
চোখের কর্নিয়া শুকিয়ে যাওয়া
টিভি বা ফোনের দিকে এক দৃষ্টে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখের কর্নিয়া শুকিয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলে ‘ড্রাই আইজ’ এর ফলে চোখে ব্যাথা করে, কখন চোখ কড়কড় করে আবার কখনো বা চোখ জলে ভরে ওঠে ।
চোখের পাওয়ার পরিবর্তন
ভালোভাবে কোনো কিছু দেখার পেছনে মাথার বা মস্তিষ্কের একটা যোগ রয়েছে। মস্তিস্কই ছোটোবেলা থেকে দেখার অভ্যাস তৈরি করে। শিশুরা কি দেখছে, কতক্ষণ ধরে দেখছে এবং কেমন ভাবে দেখছে তার ওপরই মস্তিস্ক চোখের পাওয়ার নির্ধারিত করে। এটা দীর্ঘদিনের একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াকে চিকিৎসার ভাষায় বলে ‘ইমট্র্রোপাইজেশন‘। বেশ কিছু দিন এমনভাবে চলতে থাকলে শিশুদের দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়। এই অসুখকেই মায়োপিয়া বা মাইনাস পাওয়ার আসা বলে। প্রতিদিন এই ধরণের শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে যা কিনা খুব চিন্তার বিষয়।
প্রতিকারে উপায়
একটানা ফোনের দিকে না তাকিয়ে থেকে ১৫ মিনিট অন্তর চোখ বন্ধ করা ও খোলা প্রয়োজন।
ঘরে বা যেখান থেকে ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে।
রাতের বেলায় কোনোমতেই অন্ধকার ঘরে ছোটোদের ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।
বড়োদের থেকে ছোটোরা শেখে। তাই ছোটোদের সামনে বড়োদেরও ফোন ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এজন্য ফোন থেকে বিরত থাকার জন্য ছোটোদের নানা রকম গল্প বা ঘটনা তুলে ধরা প্রয়োজন।